অর্থনীতির উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, ধারাবাহিক দারিদ্র বিমোচন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সক্ষমতায় অগ্রগতির ফলস্বরূপ আজ বাংলাদেশের শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা, ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে প্রায় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে পৌছেছে।
এই সাফল্য ধরে রাখতে সরকার ইতোমধ্যেই দুটো অভিলক্ষ্য সামনে রেখে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এগুলো হলো, ‘বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনা’ – ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা (যার ১০ শতাংশ উৎপাদন হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে), এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ – ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা (যার ৪০ শতাংশ উৎপাদন হবে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হতে)। ফলে, ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ভিত্তিক জ্বালানির পাশাপাশি কয়লা, তরল জ্বালানি, ডুয়েল-ফুয়েল, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বরাবরের ন্যায়, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও, এবারের বাজেট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংগ্রহে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুমুখী ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জ্বালানি মজুতকরণ ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয়কে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৩